সুন্দরবনের পূর্বাংশে লাগা আগুনে এরই মধ্যে পুড়ে গেছে কিছু এলাকা। গতকাল শনিবার আগুন লাগার বিষয়টি নজরে আসার পর দুপুর থেকেই বন বিভাগ, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ও বাসিন্দারা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। তবে দুর্গম এলাকা এবং পানির উৎস দূরে থাকায় গতকাল বিকেলে ফায়ার সার্ভিস সেখানে পৌঁছালেও আগুন নির্বাপণে আর কাজ শুরু করতে পারছিল না।

আজ রোববার সকাল থেকে আবারও আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের। তবে, এরইমধ্যে আগুন ৩ কিলোমিটারের বেশি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হবে বলে মনে করছে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বনের ওই এলাকায় বন্য প্রাণীর চাপ বেশি। বাঘ, হরিণ, বানরসহ অনেক প্রাণীর বাস এখানে। বন থেকে লোকালয় কাছে হওয়ায় এবং সহজে বনে প্রবেশের সুযোগ থাকায় এখানে চোরা শিকারিদের বনে প্রবেশ সহজ। বনের ওই এলাকায় বর্ষা মৌসুমে মাছ শিকারের জন্য এর আগে আগুন দেওয়ার অভিযোগও আছে।

সর্বশেষ ২০২১ সালের ৩ মে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকায় আগুন লেগেছিল। এ নিয়ে গত ২৩ বছরে সুন্দরবনের ভোলা ও মরা ভোলা নদীসংলগ্ন ওই এলাকায় অন্তত ২৫ বার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।